পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দিল ঈদগাঁও থানা পুলিশ!
যুগান্তর ডেস্কঃ
কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্রতারণা মামলার পরোয়ানাভুক্ত শফিউল আলম নামের এক আসামিকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার বেলা ১২টায় ঈদগাঁও ইউনিয়ন থেকে ওই আসামিকে গ্রেফতার করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
শফিউল ওই এলাকার মৃত অজি উল্লাহর ছেলে এবং দুর্নীতি ও প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদীর ছোট ভাই মোহাম্মদ হাসান ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
মোহাম্মদ হাসান বলেন, ২০২০ সালে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে তার বড় ভাই প্রবাসী নুরুল কবির বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন (নম্বর ২০/২০২০)। পরে তদন্ত করে ৩ জনকে বাদ দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলও)। সেখান থেকে এক নারী আসামির সঙ্গে বাদীর আপস হয়।বাকি ২ আসামি শফিউল আলম ও নুরুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পুলিশ নুরুল হককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলেও, প্রধান আসামি পালাতক ছিল।
হাসান আরও বলেন, শনিবার বেলা ১২টার দিকে আমাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামির বসতবাড়িতে অভিযানে যায় ঈদগাঁও থানার এএসআই আবদুর রশীদের নেতৃত্বে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শফিউল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেন ওই এএসআই।
এএসআই আবদুর রশীদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আসামি শফিউল আলম অসুস্থ, তার হার্টে রিং পরানো এবং পা ফোলা। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে টাকা লেনদের বিষয়টি স্বীকার করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আবদুল হালিম বলেন, পরোয়ানাভুক্ত আসামি হলেও শফিউল আলম কিডনিসহ নানা রোগে আক্রান্ত। তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর মতো অবস্থা ছিল না। তাই চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Comments
Post a Comment