নাপিতখালীতে কোটি টাকার ইয়াবা ও নগদ টাকা লুট করে ভাগভাটোয়ারা
মাহাবুবুর রহমান :
সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে কোটি টাকার ইয়াবা লুট করে ভাগভাটোয়ারা করেছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। এনিয়ে এলাকার বেশ মুখরোচক আলোচনা সমালোচনা হলেও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে ইয়াবা লুটকারীরা।
এদিকে ইয়াবার ভাগ হওয়া বাড়িতে প্রতিনিয়ত বসে ইয়াবা সেবনের হাট। এছাড়া এই ঘটনার সাথে কক্সবাজার শহরের কয়েকটি সিন্ডিকেট জড়িত এবং তারা ভাগভাটোয়ারা অংশ নিয়ে বিপুল টাকা আয় করেছে বলে ও জানান স্থানীয়রা।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঈদগাঁও ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্যম নাপিতখালী এলাকার রেল লাইনের রাস্তাতে ১৯ মে বিকালে প্রকাশ্য অসংখ্য মানুষের সাথে স্থানীয় একদল যুবক ২ জন বহিরাগত ছেলেকে মারধর করছে। সাথে থাকা আরেকটি গ্রুপ পলিথিনে রাখা বেশ কিছু ইয়াবা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে জানা গেছে বহিরাগত ২ যুবক ঢাকা থেকে আগত তারা ৩০ লাখ টাকা নিয়ে এসেছিল ইয়াবা কিনতে। পরে সেই ৩০ লাখ টাকা এবং সাথে থাকা বিপুল পরিমান ইয়াবা ছিনিয়ে নেয়। ঢাকা থেকে আসা যুবকরা সেখানে প্রত্যক্ষদর্শীদে বলেছে সেই পলিথিনে কোটি টাকার ইয়াবা এবং নগদ ৩০ লাখ টাকা ছিল।
এই ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত ছিল মধ্যম নাপিতখালী এলাকার ফরিদের ছেলে রিদুয়ান,আবদু রহিমের ছেলে আয়মান সহ ৮/১০ জনের একটি গ্রুপ। পরে দিন রিদুয়ানের বাড়িতে অসংখ্য যুবক এবং মহিলা সহ এসে সেই ইয়াবার টাকার জন্য ব্যাপক ঝগড়াঝাড়ি শুরু করেছে। জানা গেছে পরে বেলাল নামের এক আওয়ামীলীগ নেতা সহ বেশ কয়েক জন মিলে সেই লুটকরা টাকা এবং ইয়াবার ভাগভাটোয়ারা করে দেয়। সেখানে কক্সবাজার শহরের সরকারি কলেজের পাশে এবং খুরুশকুলের একটি গ্রুপও আছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ইসলামপুর বটতলীর স্থানীয় কয়েকটি দোকানে বসে লোকজনের সাথে কথা বলে সেই ইয়াবা লুটের বিষয়ে সবাই জানে বলে জানা গেছে। তবে প্রশাসন জানে কিনা তা কেউ জানেনা। এদিকে এলাকাবাসীর দাবী বটতলী এলাকার একনাম করা ব্যবসায়ি যার স্ত্রী রোহিঙ্গা তার দুই শালাও ইয়াবা মামলার আসামী তারা সবাই মিলে ভাগভাটোয়ারা এবং বেচাবিক্রিতে নেতৃত্ব দিয়েছে। স্থানীদের দাবী ২ বছর আগে পুরো ইসলামপুরে সর্বোচ্চ ৫ জন ইয়াবা ব্যবসায়ি থাকলেও বর্তমানে কমপক্ষে ১০০ ইয়াবা ব্যবসায়ি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ধরতে অভিযান জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয়রা৷

Comments
Post a Comment